মাদারীপুর ডিসি অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

 কর্মচারী মিজানুর রহমান ফকিরের (৫৩)

কর্মচারী মিজানুর রহমান ফকিরের (৫৩)

মাদারীপুরে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারী মিজানুর রহমান ফকিরের (৫৩) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ফকির জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরি করছেন। তিনি মাদারীপুর পৌরসভার পাঠককান্দি এলাকার কিনাই ফকিরের ছেলে। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে মিজানুর রহমান ফকিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে। 

বিষয়টি আমলে নিয়ে তার প্রাপ্ত সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেন দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সাবেক উপ-সহকারী পরিচালক সৌরভ দাস। প্রাথমিকভাবে মিজানুর রহমান ফকিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ পাওয়ায় তাকে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ পাঠানো হয়। তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীর নোটিশ পর্যালোচনা করেন মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান। 

দুদকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মিজানুর রহমান ফকির দুর্নীতি দমন কমিশনে তাঁর দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে নিজ নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে ২৯ লাখ ৮৪ হাজার ৪৬২ টাকা মূল্যের সম্পদ গোপন করেছেন এবং ৩০ লাখ ১২ হাজার ৩৫৮ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারা ও ২৭(১) ধারা অনুযায়ী শাশিÍযোগ্য অপরাধ। 

এসব বিষয়ের কারনে মিজানুর রহমান ফকিরের বিরুদ্ধে ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে চলতি মাসের ৮ তারিখে মামলা দায়ের করার অনুমোদন দেওয়া হয়। 

পরে আজ বৃহস্পতিবার সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ বিষয়ে মামলার বাদী আখতারুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে মিজানুর রহমান ফকিরের সম্পদ অনুসন্ধান করে দেখা যায় তিনি অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন। এসব তথ্য ও প্রমাণ হাতে পেয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। 

এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে আমাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে চার্জশিট দেয়া হবে। এদিকে দুদকের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মিজানুর রহমান ফকির বলেন, আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। দুদক আমাকে নোটিশ পাঠালে আমি আমার সম্পদের বিবরণী তাদের কাছে জমা দিয়েছিলাম। তারপর কি হয়েছে বলতে পারি না। 

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসকের মুখপাত্র ও মাদারীপুর স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম জানান, মিজানুর রহমান ফকিরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা দায়েরের বিষয়ে তিনি জানেন না। তবে দুদকের দায়ের করা মামলায় তিনি আইনগতভাবে অভিযুক্ত প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাওয়া হবে। 

   


পাঠকের মন্তব্য