দেশের নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা; যে ঘোষণা দিল চীন ও ভারত 

ভারত বাংলাদেশ ও চীন

ভারত বাংলাদেশ ও চীন

ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে বরাবরই মনঃক্ষুণ্ণ চিন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার  সরকারকে পাশে পেতে তথা বাংলাদেশের বৃহৎ বাজার ধরতে এখনও ব্যর্থ দেশটি। পাকিস্তানের পর বাংলাদেশের উপর প্রভাব বিস্তারের মরিয়া চেষ্টা করে আসছে বেজিং। এই প্রেক্ষাপটে ভারতের ঘোষণার পরই চিন জানিয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে তারা কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। 
 
বরাবরই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার চিনের না পছন্দ। সবসময় বিএনপি দলের পাশে থেকে সাপোর্ট দিয়ে এসছে বেজিং। যদিও যে কোনও মূল্যে ঢাকাকে কবজা করে ভারতকে বেকায়দায় ফেলার ছক কষছে কমিউনিস্ট দেশটি। সম্প্রতি বাংলাদেশের নির্বাচন ঘিরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন-সহ বিদেশি দেশগুলি সরব হয়েছে। চাপের মুখে পড়তে হয়েছে সরকারকে। তবে বন্ধুর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। নয়াদিল্লির এই ঘোষণার পরেই বুধবার চিনের পক্ষ থেকে জানিয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে তারা কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। 
 
এই বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, “চিন কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তারাই ঠিক করবে কীভাবে নির্বাচন হবে।” 

বুধবার রাজধানী ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরে পরিকল্পনামন্ত্রীর দপ্তরে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন চিনা রাষ্ট্রদূত। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইয়াও ওয়েন এসব কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, ইতিহাস সাক্ষী সেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্ন থেকে বিশ্ব দুই ভাগ হয়ে পড়েছিল। ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ভারত পাশে দাঁড়ায়। এক কোটি বাংলাদেশিকে আশ্রয়-খাদ্য-বস্ত্র দিয়ে সহায়তা দেয়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে। এরপর ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করে এগিয়ে আসে রাশিয়া। পক্ষান্তরে গোলাবারুদ নিয়ে পাকিস্তান সামরিক জুন্টার সঙ্গে হাত মেলায় চিন, আমেরিকা-সহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি মুসলিম দেশ। ভুলে যায়নি বাংলাদেশ।  

   


পাঠকের মন্তব্য