বাংলাদেশি জাহাজ 'আব্দুল্লাহ' ও ২৩ জন নাবিক জিম্মি 

বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ

বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ

কেএসআরএম গ্রুপের অধীনে এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুতার শিকার হয়েছে। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছিল, যখন জলদস্যুরা আটক করে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজটির ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ মালিককে ঘটনাটি জানান। 

জাহাজটিতে ২৩ জন বাংলাদেশী নাবিক ছিল বলে জানা গেছে। যাদের সবাই বর্তমানে জলদস্যুদের হাতে জিম্মিতে রয়েছে। এসআর শিপিংয়ের সিইও মোহাম্মদ মেহেরুল করিম পরিস্থিতি নিশ্চিত করেছেন, আটকে পড়া নাবিকদের জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জাহাজের বার্তাটি ইঙ্গিত দেয় যে জলদস্যুরা পুরোপুরি জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। 

এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের হাতে বাংলাদেশি জাহাজ 'জাহান মানি' বন্দী হওয়ার অনুরূপ ঘটনার স্মরণ করিয়ে দেয়। এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন জাহাজটিতে ২৫ জন নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়েছিল। দীর্ঘ ১০০ দিনের অগ্নিপরীক্ষার পর, বিভিন্ন প্রচেষ্টা তাদের চূড়ান্ত মুক্তির পায় এবং তাদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

এমভি আবদুল্লাহর সাথে জড়িত সাম্প্রতিক জলদস্যুতার ঘটনার আলোকে, এসআর শিপিং সক্রিয়ভাবে জিম্মিদের সুস্থতা নিশ্চিত করা এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সংস্থাটি বাংলাদেশী নাবিকদের নিরাপদ মুক্তি নিশ্চিত করতে একটি দ্রুত এবং কার্যকর প্রতিক্রিয়া সমন্বয় করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সহযোগিতা পেতে কাজ করছে।

জলদস্যুতার ঘটনাগুলির আন্তঃজাতিক প্রকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে, এটি অপরিহার্য যে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা এবং সরকারগুলি সমুদ্রযাত্রীদের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবেলায় সহযোগিতা করবে। বাংলাদেশ সরকার, প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সাথে, জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে এবং অপরাধীদের ধরতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

এমভি আবদুল্লাহর সাথে জড়িত জলদস্যুতার ঘটনা ভারত মহাসাগরে নাবিকদের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ তৈরি করেছে। এসআর শিপিং পরিস্থিতি সমাধানের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে এবং এই অঞ্চলে জলদস্যুতার ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

   


পাঠকের মন্তব্য