আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ

ড. এস,এম, আলমগীর কবীর

ড. এস,এম, আলমগীর কবীর

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ড. এস,এম, আলমগীর কবীর, একজন কর্মকর্তা, যিনি পূর্বে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এপিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মামলায় তাকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে এবং পরবর্তীকালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের IMPACT III ফেজের প্রজেক্ট পরিচালক হিসেবে নিয়োগের সময় তার নিয়োগ এবং যোগ্যতার সাথে জালিয়াতি এবং প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে।

ড. এস,এম, আলমগীর কবীর মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ১৮ বছর দায়িত্ব পালন করেন, প্রথমে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এপিএস এবং পরে তৃতীয় সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের অধীনে তার নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। যাইহোক, তদন্তে তার যোগ্যতা এবং তার নিয়োগের সত্যতার মধ্যে অসঙ্গতি প্রকাশিত হয়েছে।

দুদকের দায়ের করা মামলায় ড. কবিরকে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে অভিযোগ করা হয়েছে যে ড. কবির শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা উভয় ক্ষেত্রেই যে পদের জন্য তিনি যোগ্য নন সেগুলি সুরক্ষিত করার জন্য তার প্রমাণপত্র জাল করেছিলেন।  

তদন্তে জানা যায় যে ডক্টর কবির একটি জাল পিএইচডি জমা দিয়েছেন। তার যোগ্যতার অংশ হিসেবে কবির কামডেন বিশ্ববিদ্যালয়, মালয়েশিয়া ক্যাম্পাস থেকে ডিগ্রি। মালয়েশিয়ায় ওই নামে কোনো নিবন্ধিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়নি, যা তার ডিগ্রির বৈধতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তদুপরি, সহযোগী অধ্যাপক পদের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম পাঠদানের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি ২ বছর, ৩ মাস এবং ১১ দিন কম পড়েছিলেন।

তদন্তের ফলাফলগুলি দৃঢ়ভাবে পরামর্শ দেয় যে ড. এস.এম. আলমগীর কবির তার নিয়োগ ও যোগ্যতা নিশ্চিত করতে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন। তার ক্রিয়াকলাপ কেবল সিভিল সার্ভিসের অখণ্ডতাকেই ক্ষুণ্ণ করে না বরং এই ধরনের নিয়োগের জন্য যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পর্কে গুরুতর উদ্বেগও তৈরি করে। সরকারের অভ্যন্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নীতিকে সমুন্নত রাখতে ড. কবিরের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা অপরিহার্য।

   


পাঠকের মন্তব্য