ঢাকায় বৈশাখী ঝড় ও প্রবল শিলাবৃষ্টি
বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা, ২৩ মার্চ, ২০২৪, শনিবার একটি অপ্রত্যাশিত এবং ব্যাপক ঝড়ের ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল। শহরটি প্রবল শিলাবৃষ্টি সহ একটি আকস্মিক ঝড়ের দ্বারা আঘাত হেনেছিল, যার ফলে পুরো এলাকা জুড়ে অসুবিধা এবং বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছিল। এই প্রতিবেদনটির লক্ষ্য আবহাওয়ার পরিস্থিতি এবং শহরের উপর তাদের প্রভাবগুলির একটি বিস্তৃত ওভারভিউ প্রদান করা।
২৩ শে মার্চ দুপুর ২:৩০ টায় ঝড়টি শুরু হয়েছিল, এর তীব্রতার সাথে অনেক বাসিন্দাকে রক্ষা করা হয়নি। এটি প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল, এই সময়ে প্রবল বাতাসের সাথে ভারী শিলাবৃষ্টি হয়েছিল। প্রতিকূল আবহাওয়ার এই আকস্মিক সূচনা বাসিন্দাদের জন্য, বিশেষ করে যারা রাতে যাতায়াত করে বা কাজ করে তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।
ঝড় হওয়ার আগে ঢাকাসহ দেশের তিন অঞ্চলে সতর্কতা জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদফতর। পূর্বাভাসে বিশেষ করে কুমিল্লা, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে দমকা হাওয়া ও বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা নির্দেশ করা হয়েছে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
তদুপরি, পরবর্তী ২৪ ঘন্টার পূর্বাভাসে পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের উপর পশ্চিম লঘুচাপের বর্ধিতাংশ এবং দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের উপর একটি মৌসুমী স্বাভাবিক লঘুচাপের বর্ধিতাংশ তুলে ধরা হয়েছে। এই আবহাওয়ার প্যাটার্নের ফলে রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া এবং বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আশা করা হয়েছিল।
আকস্মিক ঝড় ও প্রবল শিলাবৃষ্টিতে ঢাকাবাসীর অসুবিধা ও অস্বস্তি হয়েছে। রাস্তায় অনেক মানুষ প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে আশ্রয় খোঁজার জন্য সংগ্রাম করতে দেখা গেছে। যারা রাতারাতি কাজ করছিলেন তাদের উপাদান থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন ভবনের নিচে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে।
তদুপরি, একটি ঠান্ডা বাতাসের সাথে বিরতিহীন বৃষ্টি বায়ুমণ্ডলে শীতলতার অনুভূতিতে অবদান রেখেছিল, যা বাসিন্দাদের জন্য বাইরের ক্রিয়াকলাপগুলিকে চ্যালেঞ্জ করে তোলে।
উপসংহারে, ২৩ মার্চ, ২০২৪-এ ঢাকায় যে বৈশাখী ঝড় এবং ভারী শিলাবৃষ্টি হয়েছিল, তা স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করেছিল এবং বাসিন্দাদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস সত্ত্বেও, তিব্র ঝড়ের তীব্রতা অনেককে অবাক করে দিয়েছিল।
পাঠকের মন্তব্য