মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় স্নাতকের শিক্ষার্থীর আ/ত্ম/হ/ত্যা  

স্নাতকের শিক্ষার্থী ছিলেন তাওরিন

স্নাতকের শিক্ষার্থী ছিলেন তাওরিন

পটুয়াখালীর গলাচিপায় ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। তাওরিন আহমেদ (১৮) গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বড়চত্রা গ্রামের মাহাতাব হাওলাদারের ছেলে।

তার চাচা জালাল হাওলাদার বলেন, তাওরিন ঢাকার উত্তরায় একটি কলেজের স্নাতকের শিক্ষার্থী ছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি পরিবারের কাছে মোটরসাইকেল কেনার জন্য বায়না করেন। পরে শুক্রবার তাওরিনের বাবা-মা চিকিৎসার জন্য বাড়ির বাইরে থাকায় তিনি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আমরা ধারণা করছি, সে অভিমানেই এমন কাজ করেছে।

শনিবার সকালে বাড়ি ফিরে তাওরিনের বাবা-মাসহ স্বজনরা ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ এসে ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন।

জালাল হাওলাদার আরও বলেন, তাওরিন মাদকাসক্ত ছিলেন। প্রায় দুই বছর আগে তাকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রেও পাঠানো হয়েছিলো।

এদিকে ঘটনার দিনগত রাত ২ টার দিকে তাওরিন তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, 'ভালো থেকো আব্বু-আম্মু। তোমাদের অনেক কষ্ট দিছি, তার জন্য আমাকে ক্ষমা করে দিও প্লিজ। তোমাদের আর কষ্ট দিতে চাইনা আমি তাই তোমাদের ছেড়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছি, ভালো থেকো। তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দিও তোমাদের কষ্ট দেওয়ার জন্য।

এ বিষয়ে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস আলম খান জানান, মরদেহ পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

   


পাঠকের মন্তব্য