জলবায়ু পরিবর্তনের লড়াইয়ে বাংলাদেশের পাশে যুক্তরাষ্ট্র  

মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু

মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু

ঢাকা সফরকালে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন খাতে পুরস্কার প্রদানের লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরে অংশ নেওয়ার সময় লু এর বিবৃতি এসেছে।

সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর: বুধবার সকালে গুলশানের ইএমকে সেন্টারে মার্কিন সরকার ও একটি বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এই সমঝোতা স্মারকটির উদ্দেশ্য ছিল জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন খাতে পুরস্কার প্রদান। ডোনাল্ড লু এবং ইস্টার্ন ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ শাহীন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি: সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু জোর দিয়েছিলেন যে মার্কিন সরকারের কর্মসূচির লক্ষ্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমনে বাংলাদেশকে সহায়তা করা। স্মারকলিপিটি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং সংস্থাগুলিকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি নির্দেশ করে।

সুশীল সমাজের ক্ষমতায়ন: লু অভিযোজন সেক্টরে সুশীল সমাজের কার্যক্রম বাড়ানো এবং পরিবেশগত ও সামাজিক সমস্যাগুলির প্রতি মনোযোগ আনার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের সাথে অব্যাহত জলবায়ু সহযোগিতার প্রতি মার্কিন সরকারের নিবেদন ব্যক্ত করেন।

পুরষ্কার কর্মসূচির সূচনা: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কাজ করা ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং সংস্থাগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে স্মারক প্রোগ্রামটি এই বছর শুরু হয়েছে। এটি অভিযোজন সেক্টরে সহযোগিতা এবং উদ্ভাবনকে উত্সাহিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপকে নির্দেশ করে।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পুনর্নিশ্চিত করা এই বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়। স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর স্থানীয় অভিনেতাদের ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু-সম্পর্কিত সমস্যাগুলির উদ্ভাবনী সমাধানকে উত্সাহিত করার প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে। বাংলাদেশ যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করে চলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো অংশীদারদের সাথে চলমান সহযোগিতা স্থিতিস্থাপকতা তৈরিতে এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ হবে।

   


পাঠকের মন্তব্য