নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যের কারণে মানুষের এখন নাভিশ্বাস

দেশের বাজার পরিস্থিতি

দেশের বাজার পরিস্থিতি

সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারো বেড়েছে আটার দাম। তবে ব্রয়লার মুরগি, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম কিছুটা স্থিতিশীল। শনিবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

সরকারের বেধে দেওয়া দাম অনুসারে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১০২ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১০৮ টাকায় বিক্রি করার কথা। তবে বাজারে সব ধরনের চিনিই ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর মালিবাগ কাঁচাবাজারে দেখা গেছে সব দোকানেই সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে প্যাকেট আটার দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা আটা ৬৫ টাকায়।

আমদানি করা রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা। পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমেছে। আমদানি করা পেঁয়াজ পাঁচ টাকা কমে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

গত কয়েক মাস ধরে স্বস্তি নেই নিত্যপণ্যের বাজারে। প্রতিদিনই বাড়ছে ভোগ্যপণ্যের দাম। রাজধানীর বাজারগুলোতে শীতকালিন সবজির পর্যাপ্ত আমদানী থাকলেও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

এদিকে, স্বস্তি নেই মাছের বাজারেও। প্রকারভেদে বেড়েছে সব ধরণের মাছের দাম। তবে, স্থিতিশীল রয়েছে সব ধরনের মাংস ও ডিমের দাম।

এ বিষয়ে কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাবের) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন  বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন যৌক্তিক পরামর্শ বিভিন্ন সময়ে সরকারকে দেয়া হয়েছে ক্যাবের পক্ষ থেকে। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই বলে হতাশা প্রকাশ করেন এই ক্যাব নেতা।

তিনি বলেন, অন্তত মানুষের প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যগুলোর মধ্যে যেসব একেবারেই জরুরি সেসব পণ্যের মূল্য যেভাবেই হোক নিয়ন্ত্রণ করার উদ্যোগ নেয়া উচিত সরকারের। কারণ পণ্যের উচ্চমূল্যের কারণে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের এখন নাভিশ্বাস। 

   


পাঠকের মন্তব্য