ডলারের সরকারী মূল্য ১১০  থেকে ১১৭ টাকায় নির্ধারণ 

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক

আজ বুধবার বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপন জারি করে ডলারের সরকারি দামে উল্লেখযোগ্য সমন্বয় ঘোষণা করেছে। দাম ১১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ক্রলিং পেগ নামে পরিচিত মুদ্রা মূল্যায়নের একটি নতুন পদ্ধতির দিকে একটি স্থানান্তরকে চিহ্নিত করে, যেখানে ডলারের হার ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 
 
আগের বছরের সেপ্টেম্বর থেকে, ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ১১০ টাকা, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাফেদা দ্বারা নির্ধারিত হার। যাইহোক, সাম্প্রতিক এই সমন্বয়ের মাধ্যমে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক পূর্ববর্তী মূল্যায়ন পদ্ধতি থেকে একটি উল্লেখযোগ্য বিচ্যুতি শুরু করেছে। 

ডলারের সরকারী মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যারা আমদানি ব্যয়ের সম্ভাব্য প্রভাবের প্রত্যাশা করে। ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে আমদানির সাথে যুক্ত ব্যয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পূর্বে, ডলারের প্রাপ্যতা সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার একটি মাত্রা বিদ্যমান ছিল, কিন্তু সেগুলি তুলনামূলকভাবে কম দামে পাওয়া যেত। এখন সাত টাকা বেড়ে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় বাড়বে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে স্থানান্তর পূর্বের স্থির বিনিময় হার ব্যবস্থা থেকে প্রস্থানের ইঙ্গিত দেয়। এই নতুন পদ্ধতি একটি আরও গতিশীল মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার পরামর্শ দেয়, যা বাজারের অবস্থার পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় সামঞ্জস্য করার অনুমতি দেয়। যদিও এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মুদ্রা মূল্যায়নে স্থিতিশীলতা এবং স্বচ্ছতা প্রদান করা, এটি অনিশ্চয়তারও পরিচয় দেয়, বিশেষ করে আমদানি খরচ এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক গতিশীলতার উপর এর প্রভাব সম্পর্কিত।

ডলারের সরকারী মূল্য বৃদ্ধি এবং ক্রলিং পেগ পদ্ধতি অবলম্বন করার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে। যাইহোক, এই সামঞ্জস্যের প্রভাবগুলি সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন, বিশেষ করে আমদানি খরচ এবং বৃহত্তর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর এর প্রভাবগুলির বিষয়ে।

নতুন মুদ্রা মূল্যায়ন পদ্ধতি কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে স্টেকহোল্ডাররা অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রভাব ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। এই উত্তরণ থেকে উদ্ভূত যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে আরও বিশ্লেষণ এবং নীতির সমন্বয় প্রয়োজন হতে পারে।

   


পাঠকের মন্তব্য