ব্রাজিলের পর আর্জেন্টিনাকে হারালেই জার্মানির পাশে ক্রোয়েশিয়া

ব্রাজিলের পর আর্জেন্টিনাকে হারালেই জার্মানির পাশে ক্রোয়েশিয়া

ব্রাজিলের পর আর্জেন্টিনাকে হারালেই জার্মানির পাশে ক্রোয়েশিয়া

কোয়ার্টার ফাইনালে শিরোপাপ্রত্যাশী ব্রাজিলের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ লাতিন ফুটবলের আরেক পরাশক্তি আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের হারাতে পারলে ফাইনাল নিশ্চিতের পাশাপাশি আরও এক কীর্তিতে ভাগ বসাবে তারা।

একই বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাকে হারানোর কীর্তি আছে কেবল জার্মানির। ২০১৪ সালের আসরের সেমিতে স্বাগতিক ব্রাজিলিয়ানদের ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল তারা। এরপর অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ফাইনালে আর্জেন্টাইনদের হৃদয় ভেঙেছিল দলটি। ১-০ গোলে জিতে তারা করেছিল শিরোপা জয়ের উৎসব।

এবার কাতার বিশ্বকাপে ক্রোয়াটদের সামনে রয়েছে জার্মানদের ছুঁয়ে ফেলার হাতছানি। জ্লাতকো দালিচের শিষ্যদের পক্ষে শেষ আটে বাজি ধরার লোক ছিল কমই। তবে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে ১২০ মিনিটের পর টাইব্রেকারে বাজিমাত করে তারাই। লুকা মদ্রিচ-দমিনিক লিভাকোভিচকদের কাছে হেরে ব্রাজিলের ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন ভেস্তে যায়। চোখের জলে মাঠ ছাড়তে হয় নেইমারদের।

মেসিদের ভাগ্যেও কি একই করুণ পরিণতি অপেক্ষা করছে ? নাকি নতুন কোনো চমক ঘটতে দেবে না লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা? কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জানা যাবে উত্তর। লুসাইল স্টেডিয়ামে আসরের প্রথম সেমিতে মুখোমুখি হচ্ছে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও গতবারের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচটি শুরু হবে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত একটায়।

আরও একটি অর্জন ছুঁয়ে ফেলার সুযোগ রয়েছে ক্রোয়েশিয়ার। টানা দুবার বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলার নজির আছে ইউরোপের মাত্র তিনটি দলের। তারা হলো ইতালি (১৯৩৪, ১৯৩৮), নেদারল্যান্ডস (১৯৭৪, ১৯৭৮) ও জার্মানি (১৯৮২, ১৯৮৬ ও ১৯৯০)। চতুর্থ দল হিসেবে সেই তালিকায় যুক্ত হতে পারে দালিচের দল। 

   


পাঠকের মন্তব্য