পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মেয়াদ বাড়নো হচ্ছে

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন

পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১১ জানুয়ারি। তাই পরবর্তী আইজিপি কে হচ্ছেন তা নিয়ে এতদিন নানা হিসাব নিকাশ থাকলেও  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্রের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে আগামী এক থেকে দেড় বছর দেশপ্রেমিক পুলিশ বাহিনীর মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসাবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। 

সূত্রটি আরো জানিয়েছে, সরকারের সর্বোচ্চ মহলের নিদের্শেই খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এ বিষয়ে সরকারি সাকুর্লার জারি করা হবে। 

পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১১ জানুয়ারি। তাই পরবর্তী আইজিপি কে হচ্ছেন তা নিয়ে এতদিন নানা হিসাব নিকাশ থাকলেও দৈনিক ভোরের পাতার পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্রের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে আগামী দেড় বছর দেশপ্রেমিক পুলিশ বাহিনীর মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসাবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে কয়েকটি কারণের কথাও জানা গেছে। 

সূত্রটি আরো জানিয়েছে, সরকারের সর্বোচ্চ মহলের নিদের্শেই খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এ বিষয়ে সরকারি সাকুর্লার জারি করা হবে। 

বিসিএস পুলিশ ক্যাডার অষ্টম ব্যাচের কর্মকর্তা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর গ্রেড-১ পদোন্নতি পান। চাকরির মেয়াদ পূর্ণ করে আগামী ১১ জানুয়ারি তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল।

তবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেলে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও দেড় বছর পুলিশের সর্বোচ্চ পদ অলঙ্কৃত করবেন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় তিনিই থাকবেন পুলিশের মহাপরিদর্শক। কারণ দেশপ্রেমিক পুলিশ বাহিনীর মধ্যে চেইন অব কমান্ড ধরে রাখতে তিনি ইতিধ্যেই সফলতা দেখিয়েছেন। 

এছড়া চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের  সহকর্মীরা বলছেন, তার যোগ্যতা, পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও নিরলস শ্রম তাকে এই সফলতার পথে নিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে গেল ডিসেম্বরে ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতি যথাযথ সামাল দেওয়ায় সরকারের উচ্চমহলেও তিনি প্রশংসিত হয়েছেন।

সর্বশেষ  বিএনপির মহাসচিবসহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের পর কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মতো কঠিন চ্যালেঞ্জও উত্তরণ করেছেন। বড় ধরনের অঘটন ছাড়াই ১০ ডিসেম্বর অতিক্রম করায় নাগরিকেরাও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন আইজিপির কর্মদক্ষতার।

সবচে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসাবে বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা ঠেকাতে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুননের নেতেৃত্ব সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার কারণে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেনি। সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে তাই সরকারের সর্বোচ্চ মহলের নিদের্শেই আরো দেড় বছর আইজিপি হিসাবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন দেশপ্রেমিক পুলিশ বাহিনীর বর্তমান মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন পুলিশের সবচেয়ে পুরনো ইউনিট সিআইডি প্রধান (অতিরিক্ত আইজিপি) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সিআইডিতে কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবের পাশাপাশি বিভাগীয় পর্যায়ের ল্যাবের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেন। ফলে মামলার আলামতের ফরেনসিক পরীক্ষা ও এক্সপার্ট ওপিনিয়ন প্রদান প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।

এছাড়া মামলা তদন্তে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তদন্তের মান বাড়াতে তিনি প্রশিক্ষণের ওপরও জোর দেন। এতে সিআইডির মামলা তদন্তে গুণগত ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটে এবং মামলা নিষ্পত্তির হার বৃদ্ধি পায়। করোনাভাইরাস মহামারির ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে নাগরিকদের পাশে দাঁড়ানোসহ র‌্যাবের নানাবিধ ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের পেছনেও এই ইউনিটটির সেসময়ের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের অবদান রয়েছে।

র‌্যাব মহাপরিচালক হিসেবে সহিংস উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে তার উদ্যোগে অপারেশনাল কার্যক্রমের পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক পোস্টার, ব্যানার ও ডিজিটাল বিলবোর্ডে জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচারণার পাশাপাশি টেলিভিশনে জঙ্গিবাদবিরোধী টিভিসি প্রচারের মত ইনোভেটিভ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ধর্মীয় চরমপন্থায় দীক্ষিত কিন্তু অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত হয়নি এমন ব্যক্তিদেরকে পুনর্বাসন এবং সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ‘নব দিগন্তের পথে’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল র‌্যাব।

   


পাঠকের মন্তব্য