বেরোবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সংঘর্ষ, আহত ৩ শিক্ষার্থী 

বেরোবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সংঘর্ষ

বেরোবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সংঘর্ষ

মোজাম্মেল হক হৃদয়, বেরোবি প্রতিনিধিঃ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর (বেরোবি)তে পিঠা উৎসবে কথা-কাটাকাটির জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্ক মোড়ে স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পসে পিঠা উৎসব-১৪২৯ এ পিঠা খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রবিন ইসলামের সাথে বহিরাগত লিয়ন ও আরাফাতের সাথে কথা কাটাকাটি হয়।

এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী  রবিনকে পার্ক মোড় থেকে চকবাজারে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে মারধর করে ওই দুই বহিরাগত ও তার দলবল।এ ঘটনা প্রকাশিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করতে গেলে দুই পক্ষের কথা-কাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া করে বহিরাগতরা।পাল্টা জবাব হিসেবে শিক্ষার্থীরা ধাওয়া করে লাঠিসোঁটা নিয়ে।একপর্যায়ে দুইপক্ষের ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থী আহত হয়।আহত শিক্ষার্থীদের দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।আহতদের মধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী শয়ন সাহা বলেন,এর আগেও বেশ কয়েকবার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বহিরাগতদের দ্বারা নানা সময় হেনস্থা ও মারধরের শিকার হয়েছে।আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা চাই।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনা জানতে পেরে আমরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করতে গেলে তারা আমাদের উপর আক্রমণ করে। যার জবাবে শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ধাওয়া করে।আমরা অতিদ্রুত ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা ও জড়িতদের গ্রেফতার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী শয়ন সাহা বলেন,এর আগেও বেশ কয়েকবার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বহিরাগতদের দ্বারা নানা সময় হেনস্থা ও মারধরের শিকার হয়েছে।আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা চাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী জানান,বহিরাগতকর্তৃক আমাদের শিক্ষার্থী হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঘটনা দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।

রংপুর মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসাইন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ২ রাউন্ড টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রযে়ছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হযে়ছে।

   


পাঠকের মন্তব্য