ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লুট হওয়া টাকার ৩ ট্রাঙ্ক উদ্ধার

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ

ঢাকার উত্তরা থেকে লুট হওয়া ডাচ-বাংলা ব্যাংকের (সোয়া ১১ কোটি টাকা) ৪ ট্রাঙ্কের মধ্যে ৩ ট্রাঙ্ক উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, রাজধানীর খিলক্ষেতের হোটেল রিজেন্সির আশপাশের এলাকা থেকে আমরা লুট হওয়া বেশিরভাগ টাকা উদ্ধার করেছি। এখনও অভিযান চলছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মোট ৪ ট্রাঙ্ক টাকা লুট হয়েছিল। এর মধ্যে ৩ ট্রাঙ্ক উদ্ধার হয়েছে। এখনও গোনা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ৯ কোটি টাকার মতো উদ্ধার হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর সেতু এলাকায় সোয়া ১১ কোটি টাকাসহ একটি মাইক্রোবাস ছিনতাই হওয়ার কথা জানিয়েছিল পুলিশ।

ডাচ বাংলা ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সগীর আহমেদ বলেন, মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি বার্ষিক চুক্তিতে ডাচ বাংলা ব্যাংকের নির্ধারিত বুথে টাকা পৌঁছে দেয়ার দায়িত্বে আছে। তাদের হাত থেকেই টাকা ছিনতাই হয়।  

এ বিষয়ে মানি প্লান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক যশোদা জীবন দেবনাথ বলেন, আমাদের কোম্পানি প্রতিদিনই এটিএম বুথে টাকা লোড করে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে সাভার ইপিজেডে যাচ্ছিল। উত্তরা দিয়াবাড়ি দিয়ে যাওয়ার সময় কালো রঙের একটি মাইক্রোবাস আমাদের টাকার গাড়ির সামনে এসে পথ আটকে দেয়।

এরপর ওই মাইক্রো থেকে ৪/৫ জন লোক বের হয়ে আমাদের ড্রাইভারসহ সিকিউরিটি গার্ডকে মারধর করে চাবি কেড়ে নেয় এবং গাড়ি থেকে লোকজনকে ফেলে দেয়। এরপর তাদের একজন আমাদের গাড়িটা ড্রাইভ করে চলে যায়।

তিনি বলেন, আমাদের গাড়ি নিয়ে কিছু দূর গিয়ে তারা দেখে তখনও আমাদের একজন লোক গাড়িতে ছিল। এরপর গাড়ি থামিয়ে তাকে মারধর করে ফেলে দেয়। এরপর চারটা (টাকার) ট্রাংক নিয়ে ‘ডাকাতরা’ তাদের গাড়িতে উঠে চলে যায়।

এরপর তুরাগ থানায় গিয়ে পুলিশকে অবহিত করলে তৎপরতা শুরু হয় বলে জানান যশোদা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সারাদিন আমরা ডাচ বাংলা ব্যাংকের বিভিন্ন বুথ থেকে টাকা সংগ্রহ করে ওই টাকা আবার ছেঁড়া-ফাটা বাছাই করে ভালো টাকাগুলো আবার লোড করি। এটাই আমাদের সার্ভিস।

   


পাঠকের মন্তব্য