খরুলিয়ায় স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ; আদালতে মামলা

কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়ন

কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়ন

কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়া চেয়ারম্যান পাড়া থেকে ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের অভিযাগ উঠেছে।অপহৃত উম্মে নুসরাতুল হাসানত নুরী প্রকাশ পিয়া মনি চেয়ারম্যান পাড়ার প্রবাসী মোহাম্মদ নুর উদ্দিন ও হাসিনা আক্তারের মেয়ে।

গত (১১ এপ্রিল) সকাল আনুমানিক ১১টার সময় ৪ টায় ঝিলংজার ৬নং ওয়ার্ডের খরুলিয়া বেপারি পাড়ার মোঃ আলীর ছেলে নাছির উদ্দিন, জাফর এর ছেলে মোঃ জাহেদ, খোরশেদ এর ছেলে রিশাদ সহ সংঘবদ্ধ হয়ে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায়।

মামলা সূত্রে জানা যায়,মামলার বাদী হাসিনা আক্তার বলেন, অপহরণকারীরা এলাকার খারাপ প্রকৃতির ছেলে। দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নই। আমার মেয়ে নুসরাতুল হাসানাত নুরী প্রকাশ পিয়া মনি বাংলাবাজার আইডিয়াল স্কুলের ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রী। আসামীরা আমার মেয়ে স্কুল ও প্রাইভেটে যাওয়া আসার সময় ইভটিজিং করতো।এবিষয়ে জানতে পেয়ে আমি আসামীদের বিরুদ্ধে স্হানীয় ভাবে সালিশ দিলে তারা ক্ষীপ্ত হয়ে আমার মেয়েকে অপহরণ করার হুমকি দেয়।

আসামীদের হুমকির ভয়ে মেয়েকে কিছুদিন স্কুলে আসা যাওয়া বন্ধ করি।মেয়ের নিরাপত্তার জন্য পুনরায় স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির কাছে বিচার দিলে আসামীরা ক্ষীপ্ত হয়ে ঘটনার ৩/৪ আগে রাতের অন্ধকারে আমার মেয়েকে অপহরণ করতে আসে।অপহরণের খবর আমি সহ আশপাশের লোকজন অবগত হইলে আসামীরা পালিয়ে যায়।

বাদী আরও বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় গত ১১ এপ্রিল সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে আমার মেয়ে নদী থেকে পানিতে আনতে গেলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা আসামীরা আমার মেয়েকে জোরপূর্বক কাপড় দিয়ে মুখ চেপে ধরে সিএনজি গাড়িতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমরা মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর না পেয়ে প্রশাসনের সহযোগীতা নিতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে থানা পুলিশ আমার অভিযোগ গ্রহণ না করে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।ঘটনার ৬ দিন অতিবাহিত হলেও এই পর্যন্ত আমার মেয়ের কোন  সন্ধান পাইনি।

অপহৃত স্কুল ছাত্রী নুসরাতুল হাসানাত নুরী প্রকাশ পিয়া মনির পরিবার তাদের মেয়েকে ফিরে পেতে জেলা পুলিশ সুপার সহ কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা'র সহযোগীতা কামনা করেছেন।

   


পাঠকের মন্তব্য