কল্যাণী কাজীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফোটো)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফোটো)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্রবধু কল্যাণী কাজীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

শেখ হাসিনা এক শোক বার্তায় বলেন, বিখ্যাত নজরুল গীতি শিল্পীর মৃত্যুতে সঙ্গীত জগতের এক অপূরনীয় ক্ষতি হলো।
প্রধানমন্ত্রী শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় ভারতের এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিশিষ্ট নজরুলগীতি শিল্পী কল্যাণী কাজী। বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি কাজী নজরুল ইসলামের পুত্র কাজী অনিরুদ্ধর স্ত্রী। 

গত নভেম্বর মাস থেকেই শারীরিক কষ্টে ভুগছিলেন কল্যাণী। ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়েছিল তাঁর। সেই সঙ্গে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রথমে দেশপ্রিয় পার্কের কাছে এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। তারপর তাঁকে এসএসকেএমএ স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসক রজত চৌধুরীর অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মাল্টিঅর্গান ফেলিওর হয় তাঁর। শুক্রবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।

কল্যাণীর দুই পুত্র ও এক কন্যা রয়েছেন। তাঁর দেহ পাইকপাড়ার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে এবং পিস ওয়াল্ডে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার কন্যা অনিন্দিতা কাজী আমেরিকা থেকে ফিরলে পার্ক সার্কাসে কল্যাণীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তাঁর গুণমুগ্ধ শ্রোতা ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শোকের ছায়া। কল্যাণীর মৃত্যুতে শোকোস্তব্ধ সকলেই। 

পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কল্যাণী কাজীর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন। ২০২০ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে সঙ্গীত মহাসম্মান প্রদান করেছিল। কল্যাণীর মৃত্যুতে যেন একটি যুগের অবসান হল।

   


পাঠকের মন্তব্য