মুরাদপুর বান্দিরপুকুর দাখিল মাদ্রাসা সভাপতির সংবাদ সম্মেলন

মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফারুক হোসেন

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের মুরাদপুর বান্দিরপুকুর দাখিল মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফারুক হোসেন সংবাদ সম্মেলন করেছেন। 

রবিবার (১৮ জুন) বিকেলে মুরাদপুর বান্দিরপুকুর দাখিল মাদ্রাসার অফিস কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৬ জুন দৈনিক মানবজমিন প্রত্রিকায় ‘নন্দীগ্রামে মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্য ১০ লাখ, ভিডিও ভাইরাল’ শীর্ষক সংবাদসহ বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদ আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে যে, মুরাদপুর বান্দিরপুকুর দাখিল মাদ্রাসার কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও আয়া পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে ২টি পদে মোট ৮জন প্রার্থী আবেদন করে। 

গত ২০ মে মুরাদপুর বান্দিরপুকুর দাখিল মাদ্রাসার অফিস কক্ষে ডিজির প্রতিনিধি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সুপার ও শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ প্রদানে কোনো বাণিজ্য বা অনিয়ম হয়নি। কতিপয় সাংবাদিক আমার নিকট থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। 

চাঁদার টাকা না দেওয়ায় তাঁরা আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ভিডিও এডিটিং করে প্রচারসহ মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। আর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, দপ্তর সম্পাদক, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্যসহ কারো নাম ভাঙিয়ে টাকা ভাগাভাগির প্রশ্নই আসে না। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, আমার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য কিছু সাংবাদিক মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করেছে। আমরা প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।  

ভবিষ্যতে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করছি। অন্যথায় যথারীতিভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেসময় উপস্থিত ছিলেন সুপার সাইফুল ইসলাম, শিক্ষক প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম, আলতাফ হোসেন ও মাও. আব্দুস সামাদ প্রমুখ।