দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের গোলাগুলিতে আরসার ৫ সদস্য নিহত 

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র গোলাগুলি

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র গোলাগুলি

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপ আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে আরসার ৫ সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। 

শুক্রবার (৭ জুলাই) উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-৮ ওয়েস্টে ৪৯ ব্লকে ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হচ্ছে- ক্যাম্প-৮ ওয়েস্টের ৪৯ ব্লকের আনোয়ার হোসেন (২৪), মোহাম্মদ হামীম (১৬), ক্যাম্প-১৩ এর আবুল বশরের ছেলে নুরুল আমিন (২৪) ও ক্যাম্প-১০ এর আবদুল কাদেরের ছেলে মো. নজিমুল্লাহ। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে ৮ এপিবিএন পুলিশ একটি ওয়ান শুটার গান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।

এ তথ্য  নিশ্চিত করে ৮-এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর বলেন, ভোরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুষ্কৃতিকারীদের দু’দলের গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তিনজনের মরদেহ পাওয়া যায়। আহত আরও দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারাও মারা যান। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

রোহিঙ্গারা জানায়, ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণে কিছুদিন ধরে আরসা ও আরএসও’র মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এরই জেরে দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এতে ৫ জন মারা গেছেন। এ ঘটনায় ক্যাম্প জুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ৮-এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (অপারেশন অ্যান্ড মিডিয়া) ফারুক আহমেদ বলেন, ক্যাম্পে একাধিক সশস্ত্র গ্রুপের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে খুনোখুনি বাড়ছে। এরই মধ্যে ভোরে দুই সন্ত্রাসী দলের গোলাগুলির ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তারা সবাই আরসার সদস্য।

ফারুক আহমেদ আরও বলেন, কে আরসা, কে আরএসও-সেটি বিষয় নয়। ক্যাম্পে কোনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলবে না। যারাই অপরাধে জড়াবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। হত্যাকারীদের ধরতে অভিযান চলছে।

উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, শুক্রবার সকালে উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প ৮/ওয়েস্টে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ৩ জন ও পরবর্তীতে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আরও ২ জন। তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই পালিয়ে গেছে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপ। তাদের ধরতে এপিবিএন ও পুলিশের অভিযান চলছে। ঘটনাস্থল আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। 

   


পাঠকের মন্তব্য