আ'লীগের শান্তি সমাবেশে ওবায়দুল কাদের

‘তারেক জিয়া চোর হ্যায়, গালি গালি মে শ্যোর হ্যা’

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খেলা হবে, খেলা হবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, ভুয়া এক দফার বিরুদ্ধে। 

‘বিএনপি-জামায়াতের হত্যা, ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্যের’ প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমেরিকার কিছু কংগ্রেসম্যানকে টাকা দিয়ে জাতিসংঘ ও মার্কিন অ্যাম্বাসেডর বানিয়ে চিঠি লেখাচ্ছে তারেক রহমান। তিনি বলেন, লবিস্ট নিয়োগ করে টাকা দিয়ে কিছু মানুষকে দিয়ে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের কাছে চিঠি লেখে। এই দুঃসাহস তারা পেল কোথায়? হাজার হাজার কোটি টাকা তারা পাচার করেছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শেকড় অনেক গভীরে। দেশি-বিদেশি যারাই চোখ রাঙাচ্ছে, কোনো লাভ হবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেক রহমান পুলিশকে ধমক দিচ্ছে। প্রশাসনকে ধমক দিচ্ছে। তারেক রহমান ফখরুলকে বলছে আন্দোলনের টাকার অভাব হবে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘তারেক জিয়া চোর হ্যায়, গালি গালি মে শ্যোর হ্যা’।

আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ নেতারা।

সমাবেশে তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বাংলাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করবেন না। যদি করেন, তাহলে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ দাঁতভাঙা জবাব দেবে।

আব্দুর রহমান বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশে নৈরাজ্য তৈরি করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সজাগ পাহারায় আছে। কোনো অপশক্তিকে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না।

নেতাকর্মীদের সতর্ক করে কামরুল ইসলাম বলেন, আর কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নাই। বিএনপির আন্দোলনের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি দেশকে আবার পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। আমাদের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে চায়।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আজ বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। কিন্তু নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য, শান্তি নষ্ট করার জন্য বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে দেশের মানুষের শান্তি বিনষ্ট করতে চায়। আজ ওই শান্তি বিনষ্টকারী সন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াতকে বলতে চাই, দেখো আমাদের ৩টি সহযোগী সংগঠনের লাখো নেতাকর্মীরা এখানে উপস্থিত হয়েছে।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, অশান্তি-সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে স্বৈরতন্ত্র চালু করতে চায়, বাঁকা পথে যারা ক্ষমতা দখল করতে চায়, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই তোমাদের নৈরাজ্য-অপকর্ম, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি মোকাবিলা করতে আমাদের যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এক হয়েছে।

   


পাঠকের মন্তব্য