'রয়েল মোশন আইটি' সাকিব রাফসানের পথচলা 

দেশীয় রেমিট্যান্স যোদ্ধা সাকিব রাফসান

দেশীয় রেমিট্যান্স যোদ্ধা সাকিব রাফসান

বাংলাদেশের তরুণরা এখন বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বাংলাদেশী তরুণ-তরুণীরা। উপার্জন করছেন একেকজন লক্ষ লক্ষ টাকা। যারা বলা হয় দেশীয় রেমিট্যান্স যোদ্ধা। তেমনি একজন যোদ্ধা সাকিব রাফসান (Sakib Rafsan)। 

মায়ের ল্যাপটপ দিয়েই নিজের ফ্রিল্যান্সিং এর শুরুটা। লুকিয়ে লুকিয়ে করতেন বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ।শুরুটা সেখান থেকেই এখন সেই তরুণ নিজেই একটি কোম্পানির সিইও। নিজের উদ্যম ইচ্ছে ও দক্ষতা দিয়ে এখন তার অধীনে কাজ করছেন এবং কাজ শিখছেন অনেক তরুণ। যিনি এখন যেমন পরিবারকে সহযোগিতা করছেন তেমনি পূর্ণ করছেন নিজের ইচ্ছে ও।

নড়াইলের এই তরুণ তার নিজ পরিশ্রম ও দক্ষতা দিয়ে তৈরি করেছেন 'রয়েল মোশন আইটি' (RoyalMotion IT) প্রতিষ্ঠানটি, প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠা লগ্নের সময় নাম ছিল সাকিব রাফসান রেকর্ডস যা পরবর্তীতে পরিবর্তন করে এখন রূপদান করেছে রয়েল মোশন আইটি প্রতিষ্ঠানে। এখন তিনি কাজ করছেন বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে রাখছেন ব্যাপক ভূমিকা। তার অধীনে প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন পাঁচজন যারা নিয়মিত উপার্জন করছেন।

সাকিবের জন্ম ২০০৬ সালে নড়াইল জেলায়। বর্তমানে তিনি নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত। এই বয়সেই তিনি পৌঁছে গেছেন উন্নতির শেকড়ে। যেখানে এই বয়সে তরুণরা গেইম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত সেখানে মূদ্রার উল্টো পিঠ সাকিব। এই বয়সে করছেন লাখ টাকা উপার্জন। এই বয়সে অনেক যেখানে পড়াশোনা করে বেকারত্বের সংখ্যা ভারী করছেন তাদের দৃষ্টান্ত উদাহরণ সাকিব।

২০১৮ সালে ড্রইং রুম থেকে শুরু তার পথা চলা। সেখান থেকে তিনি এখন 'রয়েল মোশন আইটি'র সিইও। তিনি রয়েল মোশন আইটির মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায়, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান , কন্টেন্ট মার্কেটিং, মার্কেট রিসার্চ, ভিডিও প্রোডাকশন, পাবলিক রিলেশনস (সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং , মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি, ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট, ফেসবুক অ্যাডস ম্যানেজমেন্ট, গুগল অ্যাডস ম্যানেজমেন্ট, লিঙ্ক বিল্ডিং পরিষেবা, লোগো, ব্র্যান্ডিং এবং গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং এবং পোস্ট প্রোডাকশন, সেরা মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে সঙ্গীত বিতরণ করে দেন রয়েল মোশন আইটি যা একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি এবং স্বাধীন রেকর্ড লেবেল, যা ডিজিটাল যতো ধরনের সেবা আছে সকল ধরনের সেবা প্রদান করেন। পাশাপাশি যারা দেশীয় গায়ক আছেন তারা গান সরাসরি মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে আপলোড করতে পারেন না, আপলোড করার জন্য মিউজিক ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি অথবা রেকর্ড লেভেলের প্রয়োজন হয়, রয়েল মোশন আইটি মাধ্যমে তারা মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে আপলোড করতে করে থাকে। 

রয়েল মোশন আইটির মাধ্যমে দেশের সঙ্গীতশিল্পী যারা মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে গান আপলোড করতে পারে না তাদের সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান রয়েল মোশন আইটি, তাদের লেভেলের মাধ্যমে সেই সব গায়কদের গান বিভিন্ন মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে আপলোড করে দেয়া হয় এবং সেই গুলা মাঙ্গে করে। যার মাধ্যমে দেশীয় সঙ্গীত শিল্পীরা তাদের গান শ্রোতাদের কাছে সহজেই পৌঁছে দিতে পারে। রয়েল মোশন আইটির সকল ধরণের ডিজিটাল সার্ভিস, মিউজিক ডিস্ট্রিবিউশন এবং সকল সেবায় রয়েল মোশন আইটির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

সাকিব রাফসান বলেন, আমি সপ্তম শ্রেণী থেকেই উপার্জন করি। বর্তমান সময়ে পড়াশোনা শেষ করে অনেকেই বেকারত্বের বোঝা ভারি করছে। কিন্তু ব্যতিক্রম সাকিব রাফসান। সে জায়গা থেকে আমার মনে হয় প্রত্যেকটা মানুষের এই উদ্যোক্তা হওয়া উচিত হলে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা যাবে যা দেশীয় অর্থনীতিতে ব্যাপকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখবে। আমি নিজে আরো তরুণদের প্রশিক্ষণ দিতে চাই যারা উপার্জন করতে ইচ্ছুক তাদের নিয়ে কাজ করতে চাই পাশাপাশি আমি যাই বাংলাদেশের প্রত্যেকটা তরুণ যেন উপার্জন ক্ষমতা অর্জন করে।

রয়েল মোশন আইটির প্রতিষ্ঠানটিকে আমি একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি এবং মিউজিক ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি অথবা রেকর্ড লেভেলে রুপান্তরিত করছি। যার মাধ্যমে সঙ্গীতশিল্পীরা আমাদের তাদের গান পাঠালে সেটা আমরা বিভিন্ন মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে আপলোড করে দেই। যা বাংলাদেশের সংগীত অঙ্গনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি এই ইন্ডিপেন্ডেন্ট রেকর্ড লেভেলের মাধ্যমে দেশ এবং দেশের বাইরের সংগীত শিল্পীদের গান আমরা বিভিন্ন মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে আপলোড করে শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দিবো।

সাকিব রাফসান বাংলাদেশের তরুণদের আইডল। তাকে দেখে অনেকেই অনুপ্ররেণা পায় এবং উদ্যোক্তা তৈরি হতে আগ্রহ পায়। সাকিব রাফসানরাই আগামীর বাংলাদেশের অর্থনীতির বাহক তারাই এগিয়ে নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে।

রাফসান সাকিব বাংলাদেশের চালিকাশক্তি অর্থনীতিতে আরও ব্যাপক ভূমিকা রাখতে চান। বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে বাংলাদেশকে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধশালী করে তুলতে চায় সাকিব রাফসান।

   


পাঠকের মন্তব্য