মায়ের দানে প্রাণে বাঁচল ফরিদপুরের কিশোরী শ্রাবণী

মায়ের পাশে কিশোরী শ্রাবণী

মায়ের পাশে কিশোরী শ্রাবণী

কিশোরী শ্রাবণী (১৭) কিডনি ফেইলর হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। অসহায় মা মনোয়ার বেগম কোনো উপায়ন্ত না পেয়ে নিজের কিডনি দান করলেন মেয়েকে। তাতেই প্রাণে বাঁচল ফরিদপুরের কিশোরী শ্রাবণী।

আইনি প্রক্রিয়া শেষে গত ১লা আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলালসহ ৩১ চিকিৎসক শ্রাবণীর কিডনি প্রতিস্থাপনসহ চিকিৎসা কার্যক্রমে অংশ নেন।

বৃহস্পতিবার সকালে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের ৬ষ্ঠ তলায় কিডনি দাতা ও গ্রহীতার ছাড়পত্র প্রদান উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কিডনি গ্রহীতা ও দাতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও কেকে কেটে বিদায় জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন।

উপাচার্য বলেন, ‘আজ আমাদের অন্যরকম একটি দিন কাটল। আমাদের সামনে কিডনি দাতা মা ও গ্রহীতা মেয়ে হাসিমুখে বসে আছে। এমন হাসিমাখা মুখ সব রোগীর ক্ষেত্রে আমরা দেখতে চাই।’

   


পাঠকের মন্তব্য