প্রাইমারি নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস জালিয়াতি; আটক ১৩

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ

লালমনিরহাটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহার করে জালিয়াতির দায়ে ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।  আটককৃতদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। 

জানা যায় আটকৃত- ১/ ফারিয়া সিদ্দিকী (২৫) ২/তুলি রানী রায (২৮), ৩/ পুনর্জন রায় ( ৩০), ৪/ তৃপ্তি রানী (২৬), ৫/রাফিয়া সুলতানা (২৮) ৬/ বরিউল ইসলাম (৩১)৭/ সাহেবা খাতুন (৩১) ৮/খাদিজা খাতুন (৩০) ৯/ লাভলী খাতুন (৩০) ১০/ আরফিন আয়শা ( ৩১)১১/ শেফালী খাতুন (৩১) ১২/ নাজমুননাহার পপি (৩১) ১৩/ আশিক সিদ্দিকী (২৫)  সরকারী কলেজ,ফাকল পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ, লালমনিরহাট সরকারী ভকেশনাল স্কুল এন্ড কলেজ ,গিয়াস উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে মহিলা -১০ জন পুরুষ তিনজন ৩ জন্য মোট ১৩ জনকে আটক করেন।

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, সকাল থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নজরদারি করা হয়। পরীক্ষায় নিযুক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইস সহ জালিয়াতির সাথে জড়িত ১৩ জনকে আটক করে।  

এসময় তাদেরকে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আটক ১৩ জনকে সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  

লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার চৌধুরি বলেন, 'এ জেলায় মোট ১৬ হাজার ৩২৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২ হাজার ৪২৭জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এরমধ্যে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে জালিয়াতি করার কারণে ১৬জনকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু বহিষ্কৃত ১৬ জনের মধ্যে অপরাধ বিবেচনায় ১৩ জনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এই ১৩জন পরীক্ষার্থীকে আসামী করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস মামলা করবে।

লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আটক পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা রয়েছে। আমরা অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মামলা রুজু করে আসামীদের আদালতে সোপর্দ করবো।তিনি আরও বলেন, আটককৃতদের মধ্যে ১০জন নারী ও ৩জন পুরুষ রয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ তাদের আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে।