এখনও এমপি ফ্ল্যাটের দখল ছাড়েননি রুমিন ফারহানা

সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা

সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। ৭ জানুয়ারির এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একাদশ সংসদ শেষ হয়ে গেছে। অথচ এখনও একাদশ সংসদের এমপিদের জন্য বরাদ্দ ফ্ল্যাট-অফিসের দখল ছাড়েননি রুমিন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বারবার নোটিস দিলেও নাখালপাড়ায় ন্যাম ভবনের ফ্ল্যাট ও শেরেবাংলা নগরে অফিস দখলে রেখেছেন সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। তারা বলছেন, সংসদ সদস্য থেকে পদত্যাগের পরই তার ওই ফ্ল্যাট ও অফিস ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল। সংসদ সচিবালয় কর্তৃপক্ষ ফ্ল্যাটের ভাড়া পরিশোধ করে চাবি বুঝিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করলেও তাতে সাড়া দিচ্ছেন না বিএনপির এই নেত্রী।

জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রুমিন ফারহানা গত বছর সংসদ সদস্য থেকে পদত্যাগ করলেও এক বছরের বেশি সময় ধরে ফ্ল্যাট ও অফিস দখলে রেখেছেন। বারবার চিঠি দিলেও তোয়াক্কা করছেন না।

রুমিন ফারহানাকে ফ্ল্যাট-অফিস ছাড়ার জন্য সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর চিঠি দিয়েছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সদস্য ভবন শাখা।

চিঠিতে রুমিন ফারহানাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, ‘আপনি একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য পদ থেকে গত ১১-১২-২০২২ তারিখে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু আপনার নামে বরাদ্দকৃত নাখালপাড়ায় সংসদ সদস্য ভবনের ৩/৩০৩ নম্বর ফ্ল্যাট এবং শেরেবাংলা নগর সদস্য ভবনের ৫/১০৮নম্বর অফিস কক্ষটি আজ পর্যন্ত বুঝিয়ে দেননি। অফিস কক্ষের ভাড়া পরিশোধের জন্য পত্র দেওয়া হলেও আপনি তা পরিশোধ করেননি কিংবা অফিস কক্ষটি ছেড়েও দেননি।’

চিঠিতে আরো বলা হয়, নাখালপাড়ার সংসদ সদস্য ভবনের ফ্ল্যাট ও শেরেবাংলা নগর সদস্য ভবনের অফিস কক্ষের বকেয়া ভাড়া পরিশোধ এবং ফ্ল্যাট ও অফিস কক্ষটি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অনুকূলে ৩০ নভেম্বর ২০২৩ তারিখের মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হলো।

সংসদ সচিবালয়ের এই চিঠির দুই মাস পেরিয়ে গেলেও সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। এ চিঠির পর সরেজমিন ওই ফ্ল্যাট ও অফিসের দরজায় গিয়ে তা তালাবদ্ধ দেখা গেছে।

এ বিষয়ে রুমিন ফারহানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘এতদিন দলের আন্দোলন-সংগ্রাম নিয়ে অনেকটা ব্যস্ত ছিলাম। বিষয়টি খেয়াল ছিল না। তবে আমার লোকজনকে দ্রুত বাসা-অফিস ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেছি।’

   


পাঠকের মন্তব্য