মাতৃগর্ভে থাকা সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা  

হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত

হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত

হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে কোন হাসপাতাল, ক্লিনিক, অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার গর্ভবতী মা-শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করতে পারবে না। এই নিষেধাজ্ঞা ২০২০ সালের একটি রিট আবেদনের উপর হয়েছে, যা বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ রোববার ঘোষণা করেছে।

এই রিটের আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেছেন, "এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এখন থেকে কোন হাসপাতাল, ক্লিনিক, অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার গর্ভবতী মা-শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করতে পারবে না। আমাদের রাষ্ট্রে লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ নিষেধাজ্ঞা বহন করতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"

এ ছাড়া, রিপোর্টের ডেটাবেজ সংরক্ষণ করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ এবং সামাজিক ন্যায্যবাদে অধিক মানুষ এক স্বাস্থ্যশক্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার আশাও তৈরি করছে। রিটকারী পক্ষে শুনানি করতে এই ঘটনায় আইনজীবী তীর্থ সলিল রায় এবং সরকার পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত অংশগ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রে গর্ভবতী মা-শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ নিষিদ্ধতার মাধ্যমে মাতৃত্বের দিকে আসা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হয়েছে যা মা এবং শিশুর সুরক্ষায় প্রযোজ্য। এ সিদ্ধান্ত বিভিন্ন অংশে বাস্তবায়ন হলেও, এটি সমাজে জানা দরকার যে, এ প্রযুক্তির মাধ্যমে মা এবং শিশুর মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা অব্যাহত থাকতে পারে।

আদালতের আদেশ ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ

  1. এই নির্দেশনার পর, হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলি মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশে বাধা দেওয়ার জন্য গাইডলাইন মেনে চলতে হবে।
  2. সরকারকে এ নির্দেশনা মেনে চলার জন্য হবে তাদের তথ্য সংরক্ষণ করতে এবং গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
  3. রিপোর্টে উল্লেখ থাকছে যে, সরকার এই নির্দেশনার প্রযুক্তিগত মেধার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, তবে আদালত তাদের নির্দেশ মেনে চলার প্রস্তাবনা দিয়েছে।
  4. সরকার কর্তৃক নির্ধারিত গাইডলাইন অনুসরণ করতে না পারলে, যে কেউ আদালতে আসতে পারবে এবং উক্ত নির্দেশনা অবলম্বনে মতাধিকার চাইতে পারবে।
   


পাঠকের মন্তব্য