বেনজীরের আরও সম্পদ জব্দ করতে আদালতের নির্দেশ  

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর আদালত। সাবেক আইজিপির একাধিক সম্পদের সন্ধানের পর রোববার সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসমাছ জগলুল হোসেন এ রায় দেন।

আদালতের আদেশে রয়েছে: 

  1. ১১৩টি দলিল: ১১৩টি দলিলের অধীনে সম্পত্তি সহ সম্পদ।
  2. গুলশানে চারটি ফ্ল্যাট: আদালত সুনির্দিষ্টভাবে গুলশান এলাকায় অবস্থিত চারটি ফ্ল্যাটের কথা উল্লেখ করেছেন।
  3. কোম্পানির শেয়ার: বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার রয়েছে।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আদালতের আদেশের বিস্তারিত নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার আদালত প্রাথমিকভাবে বেনজীর আহমেদের সঙ্গে যুক্ত ৮৩টি নথি জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যাইহোক, পরবর্তী তদন্তের ফলে অতিরিক্ত সম্পদের সন্ধান পাওয়া যায়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাপক সম্পদ জব্দ করার আবেদন করে, যা রোববার শুনানির পর আদালত মঞ্জুর করে।

পূর্বে, একই বৃহস্পতিবার, জব্দ করার আদেশ জারি করা হয়েছিল 
 

  1. ৩৪৫ বিঘা জমি: ১১৪ একরের সমান, এই জমিগুলি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী এবং সন্তানদের নামে ছিল।
  2. ৩৩টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট: বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কে ধারণকৃত অ্যাকাউন্ট।

পেশাগত মেয়াদ এবং বিতর্ক  

বেনজীর আহমেদ ১৫ এপ্রিল, ২০২০ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত আইজিপি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তার কর্মজীবনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক হিসাবেও মেয়াদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে, আইজিপি হিসাবে তার মেয়াদকালে, বেনজীর আহমেদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক অনুমোদিত সাতজন প্রাক্তন এবং বর্তমান র‌্যাব কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন। কথিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, তার পেশাদার উত্তরাধিকারে বিতর্কের একটি স্তর যুক্ত করেছে।

সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ এবং তার পরিবারের বিস্তৃত সম্পদ জব্দ করার আদালতের সিদ্ধান্ত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে দুর্নীতি এবং অবৈধ সম্পদ আহরণের অভিযোগ মোকাবেলায় চলমান প্রচেষ্টার উপর জোর দেয়। দুদক ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে, আরও সম্পত্তি প্রকাশের সাথে সাথে প্রত্যাশিত আরও আইনি পদক্ষেপের সাথে।

পরিস্থিতি তরল থেকে যায়, এবং আরও তথ্য উপলব্ধ হওয়ার সাথে সাথে আপডেটগুলি সরবরাহ করা হবে। কর্তৃপক্ষ এই গুরুতর অভিযোগের সমাধানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আদালতের সাম্প্রতিক আদেশ এবং দুদকের চলমান তদন্ত সম্পর্কিত নিশ্চিত বিবৃতি এবং আইনি নথির ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

   


পাঠকের মন্তব্য