বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি তদন্তে দুদকে সুমনের চিঠি

দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি জমা

দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি জমা

সাম্প্রতিক প্রকাশে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ সামনে এসেছে। জনস্বার্থের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত ব্যারিস্টার সৈয়দ সৈয়দুল হক সুমন অবসর গ্রহণের পর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের অর্জিত বিপুল সম্পদের তদন্তের আহ্বান জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একটি চিঠি জমা দিয়েছেন।

প্রজন্মকণ্ঠের প্রাপ্ত চিঠি অনুসারে, বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস দায়িত্ব পালনের পর ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তার পদ থেকে অবসর নেন। যাইহোক, বেনজীর আহমেদ এবং তার পরিবারের, বিশেষ করে তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং তাদের দুই কন্যা, ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজির এবং তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজিরের নামে সম্পত্তির উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

31 মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠের "বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ" শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে এই অভিযোগ উঠেছে, যেখানে প্রাক্তন মহাপরিদর্শক এবং তার পরিবারের বিপুল সম্পদের কথা তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে একটি অভিজাত ট্যুরিস্ট রিসোর্ট, একাধিক কোম্পানি, দামি ফ্ল্যাট ও বাড়িসহ বিভিন্ন আর্থিক সম্পদের মালিকানার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে, সেইসাথে ঢাকার কাছে প্রধান স্থানে যথেষ্ট জমির মালিকানা রয়েছে।

দুদকের কাছে ব্যারিস্টার সুমনের চিঠিতে বলা হয়েছে যে বেনজীর আহমেদ তার আয়ের তুলনায় অসম সম্পদ অর্জনের জন্য তার পদের অপব্যবহার করেছেন বলে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এটি দুদকের কাছে বিষয়টির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার এবং আহমেদের স্ত্রী ও কন্যাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনে জড়িত থাকার অভিযোগে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানায়।

বেনজির আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ব্যাপক জনরোষ ও নিন্দার জন্ম দিয়েছে। প্রতিবেদনের ফলাফল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির মধ্যে দুর্নীতি এবং ব্যক্তিগত লাভের জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার সম্পর্কে উদ্বেগকে উদ্বেগ দিয়েছে।

দুদক অভিযোগের তদন্ত শুরু করার সাথে সাথে সমাজের সকল স্তরে দুর্নীতি মোকাবেলায় জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার চাহিদা বাড়ছে। এই তদন্তের ফলাফল শুধুমাত্র জড়িতদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে না বরং দুর্নীতি দমন এবং আইনের শাসন সমুন্নত রাখার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতির জন্য একটি লিটমাস পরীক্ষা হিসেবে কাজ করবে। এই প্রতিবেদনটি প্রাক্তন আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগের গুরুত্ব এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং ন্যায়বিচারের নীতিগুলিকে সমুন্নত রাখতে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জরুরিতার উপর আলোকপাত করে।

   


পাঠকের মন্তব্য