উপজেলা নির্বাচন; বিএনপির ১৯৯ জন নেতাকে বহিষ্কার 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সম্প্রতি দলের নির্দেশের বিরুদ্ধে চলমান উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। এছাড়া বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলা নির্বাচনসহ যেকোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে দলটি।

দলের নির্দেশ সত্ত্বেও তৃতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় আরও ৫১ তৃণমূল নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এতে বহিষ্কৃত নেতার মোট সংখ্যা ১৯৯ এ দাঁড়াল।

১৫ মে জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতাদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ১৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর আগে, উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপে অংশ নেওয়ার জন্য ৭৯ তৃণমূল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, এবং ৬৯ জনকে দ্বিতীয় ধাপে বহিষ্কার করা হয়েছিল।  

বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলা নির্বাচনসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতার প্রতি দলের আস্থাহীনতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলটি স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুকূল পরিবেশের অনুপস্থিতি তুলে ধরে।

সিদ্ধান্তের তারিখ: গত ১৬ এপ্রিল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।

  1. পর্যায়: চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 
  2. পূর্ববর্তী পর্যায়: ১৫২টি উপজেলা নিয়ে গঠিত প্রথম ধাপটি 8 মে অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় ধাপে ১৬১টি উপজেলা নিয়ে ২১ মে অনুষ্ঠিত হয়।
  3. আসন্ন পর্যায়: ১১২টি উপজেলা নিয়ে তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ৫৪টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে বিএনপির শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং উপজেলা নির্বাচন থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত বর্তমান রাজনৈতিক পটভূমিতে তার অবস্থান প্রতিফলিত করে। এই পদক্ষেপগুলি দলের অভ্যন্তরীণ গতিশীলতা এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দৃশ্যপট উভয়ের জন্যই প্রভাব ফেলতে পারে।

   


পাঠকের মন্তব্য