নতুন বছরের আগেই বাংলাদেশে চালু হচ্ছে স্বপ্নের মেট্রোরেল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফোটো)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফোটো)

নতুন বছরের আগেই বাংলাদেশে চালু হচ্ছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। আগামী বুধবার এই সফর শুরু হবে। আর ওইদিন মেট্রোয় চেপে অফিস যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বুধবার উত্তরার জনসমাবেশ থেকে মেট্রো রেল উদ্বোধনের সূচনা করবেন তিনি। তারপর উত্তরা স্টেশনে এসে মেট্রোর প্রথম টিকিট কেটে প্রধানমন্ত্রী আগারগাঁওয়ের পথে রওনা হবেন। এরপর আগারগাঁও থেকে তিনি নিজ কার্যালয়ে চলে যাবেন।

মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাত্রী হিসেবে যাঁরা উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যাবে, তাঁরা ফিরতি ট্রেনে উত্তরা স্টেশনে ফিরে আসবে। 

ওইদিন ট্রেনটি আর কোনও যাত্রী পরিবহণ করবে না। পরদিন বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রীদের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত থাকবে দেশের প্রথম মেট্রো রেল। আপাতত প্রথম দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মেট্রো চলাচল করবে। এই সময়ে যাত্রী পরিবহণ করা হবে। পরবর্তী সময়ে যাত্রী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেট্রোর সময়সূচি নির্ধারণ করা হবে। মেট্রো রেললাইন-৬-এর উপপ্রকল্প পরিচালক নাজমুল ইসলাম ভুঁইঞা জানান, প্রধানমন্ত্রীর ওই দিনের কর্মসূচি এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদন করা হবে।
 
দেশের প্রথম মেট্রো রেলের উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখতে উদ্বোধনের দিন উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের উত্তরা পার্ক মাঠে জনসমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। উত্তরার মেট্রো রেলের ডিপো ও আগারগাঁও এলাকায় কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে না। এর আগে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় মাওয়া প্রান্তে একটি সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ওই সমাবেশে দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ওই সমাবেশ থেকেই পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক কম সময় দেশের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব এই সেতু দিয়ে। এবার মেট্রোরেল চালু হলে যোগাযোগ আরও সুবিধাজনক হবে। তবে মেট্রোয় যাতায়াতে খরচও খানিকটা বাড়বে বলে জানাচ্ছেন আমজনতা।

   


পাঠকের মন্তব্য