অভূতপূর্ব যোগাযোগ ব্যবস্থায় বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ

অভূতপূর্ব যোগাযোগ ব্যবস্থায় বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ

অভূতপূর্ব যোগাযোগ ব্যবস্থায় বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রথম দরকার একটি উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। সরকার সে বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েই বিগত একযুগে যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে তৈরি করেছে নতুন এক মাইলফলক। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও উন্নতি। ধীরে ধীরে সম্প্রসারিত হচ্ছে পাতালপথ। এবার খুলে গেল আরও একটি মেট্রো স্টেশনের দরজা। যার জেরে পাতালপথে আরও বেশি রাস্তা কম সময়ে যেতে পারবেন নিত্যযাত্রীরা। 

গতকাল শনিবার সকাল ৮টা নাগাদ খুলে দেওয়া হয়েছে ঢাকার উত্তরা সেন্টার মেট্রো স্টেশন। এদিন থেকেই যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন। এ নিয়ে ঢাকা শহরের ৯টি মেট্রো স্টেশনের মধ্যে খুলে গেল চারটি। বাকি স্টেশনগুলি মার্চের গোড়াতেই চালু হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
 
গতকাল শনিবার উত্তরা সেন্টার স্টেশন যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ঢাকায় সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মেট্রোপথে যাতায়াত করতে পারেন যাত্রীরা। উত্তর সেন্টার স্টেশনেও একই সময়ের মধ্যে যাতায়াত করা যাবে। গোটা রাজধানী ঢাকাকে সংযুক্ত করতে পাতালপথে ৯টি স্টেশন তৈরি হয়েছে। উত্তরা সেন্টার নিয়ে মেট্রোরেলের চারটি স্টেশন চালু হয়ে গেল।

ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড বা ডিএমটিসিএল গত সপ্তাহে জানিয়েছিল, উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১.৭৩ কিলোমিটার রুটে মোট ৯টি স্টেশন রয়েছে। বর্তমানে আগারগাঁও, পল্লবী ও উত্তরা, উত্তর স্টেশন –এই তিনটি স্টেশন চালু রয়েছে। 

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১ মার্চ থেকে মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনটি খুলে দেওয়া হবে। এরপর ধাপে ধাপে চালু হবে উত্তরা দক্ষিণ, মিরপুর-১১, কাজিপাড়া ও শেওড়াপাড়া স্টেশন।
 
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ঢাকায় চালু হয় মেট্রোরেল। তার পরেরদিন থেকে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু হয়েছে পাতালরেলের।  ধীরে ধীরে সেই পথ আরও বিস্তৃত হচ্ছে। 

মাটির তলদেশ থেকে আকাশ পর্যন্ত সর্বত্র চলছে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। বিশ্বমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য নেয়া হয়েছে বেশ কিছু মেগা প্রকল্প। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানকে নিয়ে সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) আঞ্চলিক সহযোগিতার আওতায় একটি সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ এগিয়ে চলছে। ‘প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০৪১’ অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের সব মহাসড়ক ছয় লেন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আট লেনে উন্নীত ও দেশের প্রতিটি জেলার সঙ্গে রেল পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। যোগাযোগের ক্ষেত্রে সড়ক, রেল, আকাশ ও নৌ-পথকে সমান গুরুত্ব দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক মানের যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ করছে সরকার। বর্তমান সরকারের উদ্যোগে যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ এখন দৃশ্যমান। 

   


পাঠকের মন্তব্য