ভারপ্রাপ্ত মেয়র কিরনের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ

ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন

ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চার মাসের মধ্যে এই অনুসন্ধান শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। 

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বেয় গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রুল জারিসহ এ আদেশ দেন। রুলে গাজীপুরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারোয়ার আহমেদ। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। 

ভারপ্রাপ্ত মেয়র নির্বাচিত হয়ে ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মাত্র ২৭ মাসে কিরন সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন। গাজীপুরের টঙ্গীতে ৩টি এবং ভালুকায় ২০০ বিঘা জমিতে ১টি শিল্প কারখানা গড়ে তোলেন এবং টঙ্গী, উত্তরায় অসংখ্য জমি, ফ্ল্যাটে বিনিয়োগ করেন। কিরন দায়িত্ব পালনকালে সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন শিল্প কারখানার হোল্ডিং ট্যাক্স জালিয়াতি করে কমিয়ে এবং ঠিকাদারদের থেকে কমিশন বাণিজ্য করে বিভিন্ন সেটেলমেন্ট করে কয়েকশ কোটি টাকা যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কিরন ও তার স্ত্রীর নামে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে ৩টি বিলাসবহল বাড়ি রয়েছে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক। 

২০২১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির দায়ে সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বরখাস্ত হলে কিরন আবারও বিপুল অর্থের বিনিময়ে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

   


পাঠকের মন্তব্য