সিলেট শহরে বেড়েছে অজ্ঞান ও মলমপার্টির দৌরাত্ম

অজ্ঞান ও মলমপার্টির দৌরাত্ম

অজ্ঞান ও মলমপার্টির দৌরাত্ম

সিলেট শহরে হঠাৎ বেড়েছে অজ্ঞান ও মলমপার্টির দৌরাত্ম। এ চক্রটি নগরির সিএনজি চালিত অটোরিকশা দিয়ে ভয়ঙ্কর ফাঁদ পাতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। যাত্রীবেশে তারা অটোরিকশায় আগে থেকেই ওঁৎ পেতে বসে থাকে। সাধারণ যাত্রী তার গন্তব্যে যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় উঠলেই সুবিধামতো জায়গায় নিয়ে ওই যাত্রীর সর্বস্ব কেড়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। ভয়ঙ্কর এ চক্র কতিপয় অটোরিকশা চালকের সঙ্গে আঁতাত করে এমন অপকর্ম ঘটাচ্ছে নগরী ও শহরতলীতে। হঠাৎ করেই ছিনতাইকারীদের  দৌরাত্ম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের উদ্বেগ আরো বেড়েছে।

জানা গেছে, শুধু উপশহর-বন্দরবাজার-মেজরটিলা সড়কই নয়, টিলাগড়-আম্বরখানা, মদিনা মার্কেট-কোর্ট পয়েন্ট, টার্মিনালসহ বিভিন্ন সড়কে যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীরা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেছে। অটোরিকশায় প্রতিদিনই ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। 

সর্বশেষ গত রোববার সিএনজি অটোরিকশা থেকে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন এক রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার। এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগি এসএমপির কোতোয়ালী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগী মো. আলবাব উদ্দিন (৪১) জকিগঞ্জ উপজেলার শরীফগঞ্জ গ্রামের  মো. আব্দুন নূরের ছেলে। বর্তমানে তিনি নগরীর মেন্দিবাগ এলাকার প্রেসিডেন্ট রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

অভিযোগ সূত্র জানা গেছে, আলবাব উদ্দিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল কেনার জন্য রোববার সকাল ১১টার দিকে নগদ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে নগরীর আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সের সামনে থেকে বন্দরবাজারের উদ্দেশ্যে সিএনজি অটোরিকশায় যোগে রওয়ানা দেন। এ সময় গাড়িতে আগে থেকে চালকসহ আরো দু'জন ছিলো। পরে সিএনজি চালক নাইওরপুল পয়েন্টে গিয়ে আম্বরখানা যাবে বলে আলবাবকে নামিয়ে  দেয়। গাড়ি থেকে নেমে আলবাব চুরির শিকার হয়েছেন বলে বুঝতে পারেন।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ছিনতাইকারীরা নিত্যনতুন উপায়ে ছিনতাই কাজ চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে সংঘবদ্ধ একটি ছিনতাইকারী চক্র সিলেট জুড়ে তৎপর রয়েছে। তারা বাস, সিএনজি অটোরিকশা, লেগুনায় যাত্রীবেশে উঠে  কৌশলে ছিনতাই করে সটকে পড়ে। বিশেষ করে সিএনজি অটোরিকশাকেই ছিনতাই কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। কতিপয় অটোরিকশাচালক ছিনতাইকারীদের সহযোগি হিসেবে কাজ করেন। যেসব যাত্রী একা, তাদেরকেই টার্গেট করে ছিনতাইকারীরা। অটোরিকশায় তুলে পিছনে মধ্যখানের সিটে বসানো হয় যাত্রীকে। দুই পাশে বসে ছিনতাইকারীরা। চলার পথে নির্জন স্থানে অস্ত্র ধরে হাতিয়ে নয়া হয় যাত্রীর সবকিছু। এছাড়া অনেক সময় যাত্রীর কাছ থেকে ভাংতি টাকা নেয়ার অজুহাতে তার মানিব্যাগ বের করায় ছিনতাইকারীরা। যাত্রী যখন পকেটে মানিব্যাগ রাখতে যান, তখন কৌশলে সেটি হাতিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। এরকম ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই নগরের কোন না কোন এলাকায় ঘটছে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার হিসেবে এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগি একজনের অভিযোগের সূত্র ধরে পুলিশ কাজ করছে। এই চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।

   


পাঠকের মন্তব্য