কুড়িগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্ষপূতি অনুষ্ঠান ঘিরে নানা বিতর্ক 

কুড়িগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

কুড়িগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

কুড়িগ্রামের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুড়িগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর ১২৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিতব্য বর্ণাঢ্য আয়োজনকে ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনুষ্ঠানসূচী, অতিথি নির্বাচন, সাবেক শিক্ষার্থীদের মাঝে সমন্বয়হীনতাসহ নানা কারণে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক এবং সুধীমহলে। 

উৎসবমুখর অনুষ্ঠান ঘিরে কেন নানা বিতর্ক ? জানতে চাইলে সাবেক শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম শাকিব বলেন- আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে পৌরসভার মেয়র, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সম্পাদক সহ অনেকেরই দাওয়াতপত্রে নাম দেয়া হয়নি। এটি হীনমন্যতার বহিঃপ্রকাশ। ফলে বর্ষপূ্র্তিকে ঘিরে ২ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা হয়ে পড়বে শ্রীহীন। 

এছাড়াও অনুষ্ঠান সূচীতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত, গীতা পাঠ সহ অন্যান্য ধর্মীয় কোন গ্রন্থ থেকে পাঠের বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়েছে। 
এহেন নানা বিতর্কের কারণে আয়োজকদের সাথে সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুরু হয়েছে টানটান উত্তেজনা। ফলে দূরদূরান্ত থেকে আসা সাবেক অনেক শিক্ষার্থী দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। 

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক এক শিক্ষার্থী জানান, আয়োজকদের একঘেয়েমি সিদ্ধান্তের কারণে শিক্ষার্থীদের মিলনমেলার অনুষ্ঠানকে ঘিরে দেখা দিয়েছে সংশয়।  

তিনি আরও জানান, প্রকাশিত সুভেনির এ দায়িত্বশীল অনেক শিক্ষকসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেকেরই লেখা নেয়া হয়নি। দাওয়াতপত্রে অতিথি হিসেবে জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে মোঃ জাফর আলীর নাম লেখা হয় কিন্তু তিনি সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি সেটি উল্লেখ করা হয়নি। এটি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামিলীগকে অবজ্ঞা করা হয়েছে বলে অনেকের অভিমত। 

এসব বিতর্কের ব্যাপারে বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সাইদ হাসান লোবান বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ, এছাড়াও অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটি আমাদের সাথে যোগাযোগ করেননি।   

উল্লেখ্য যে, কুড়িগ্রাম শহরের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কুড়িগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ২ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে আয়োজক কমিটি। ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারী ২ দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো: জাকির হোসেন এমপির উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। 

জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনটিকে ঘিরে বিদ্যালয়টির নবীন- প্রবীণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। অনুষ্ঠানস্থল সাজানো হয়েছে বর্ণীল সাঁজে। ১২৫ বছর পূর্তির এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে আয়োজকদের নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে অনুষ্ঠানের সফলতা নিয়ে দেখা দিয়েছে আশংকা।

 

   


পাঠকের মন্তব্য