পাগলাপীরে সড়ক অবরোধ করে দ্রত সংস্কার শেষ করার দাবি

রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়ন

রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়ন

রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের পাগলাপীর বন্দর থেকে লাহড়ীরহাট গামী প্রায় দুই কিলোমিটার পাকা সড়ক দ্রত সংস্কারের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে প্রায় এক ঘন্টা বিক্ষুদ্ধ জনগণ সড়কটি অবরোধ করে রাখেন। এতে বন্ধ হয়ে পড়ে সকল যান চলাচল। সৃষ্টি হয় দুর্ভোগের। পরে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি ও কোতয়ালী থানার ওসি সুশান্ত কুমার সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতিতে অবরোধ তুলে নেয়া হয়। 

জানা গেছে, সড়কটির পিচ করার জন্য প্রাইমকোট করে ঠিকাদার কাজ বন্ধ রেখেছে দীর্ঘদিন। এতে ওই দুই কিলোমিটার সড়কের পাশের গাছ পালা ঘরবাড়ী ধুলায় ধুসর হয়ে উঠেছে। ধুলার কারণে স্বাভাবিক চলাচল করতে পারছে না জনগণ। বিক্ষুদ্ধ জনগণ সড়কটি অবরোধ করে দ্রত সংস্কার শেষ করার দাবি জানান। 

এতে বন্ধ হয়ে পড়ে সকল যান চলাচল। এ দুর্ভোগের খবর পেয়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি এলজিইডি রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে আগামী তিন দিনের মধ্যে সড়কটির শেষ সংস্কার শুরু করার জোড় দাবি জানালে এলজিইডি রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান আলী তা মেনে নিয়ে ঘোষণা দেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু না করলে কার্যাদেশ বাতিল করা হবে। 

উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি স্থানীয় বিশিষ্ট সমাজ সেবক মশিয়ার রহমানকে বিষয়টি জানালে তার নির্দেশে স্থানীয় জনগন সড়ক অবরোধ তুলে নিতে সম্মত হন। কিন্তু বাঁধা হয়ে উঠেন স্থানীয় যুব সমাজ। কোন ক্রমেই তারা অবরোধ উঠাবেন না। এ সংবাদ শুনে কোতয়ালী থানার ওসি সুশান্ত কুমার সরকার ছুটে আসেন। তিনি পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এলজিইডি রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে মোবাইলে লাউড দিয়ে সমস্যার কথা জানান। আগামী তিন দিনের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু করার প্রতিশ্রুতিতে সড়ক অবরোধ তুলে নেয় জনগণ ও যুব সমাজ। 

শিহাব হোসেন, শামীম সরকার, শহীদ উদ্দিন, আজিবার রহমান, হাসেন আলী, শামছুল আলম,আজিবার রহমান, সিরাজ, জলিল, দুলাল, রুবেল, মিলন ও ওমর নামের প্রায় শতাধিক ব্যক্তি জানান,  সড়কটির ধুলার কারণে ছাত্র ছাত্রী, আশে পাশের বাড়ী ঘর, দুই পাশের দোকানপাটসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে থাকা যায় না। ব্যস্ত এ সড়কটি সংস্কার নিয়ে অবহেলা আর মানতে পারছে না জনগণ। তাই অবরোধ করে দাবি জানানো হচ্ছে। নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান আলী এ ব্যাপারে বলেন, ‘মানুষের দুর্ভোগ দেখলে আমাদেরই কষ্ট লাগে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জরুরি ভিত্তিতে কাজ শেষ করার তাগাদা দেওয়া হয়েছে গত মাসে। 

খুব শিগগির মানে তিন দিনের মধ্যে এ রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরু হবে। নইলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিল করা হবে।

   


পাঠকের মন্তব্য