এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি 

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছেন, যা আগের বছরের তুলনায় পাসের হারে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে।
 
উন্মোচিত তথ্য অনুযায়ী, এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৮৩.০৪ শতাংশ শিক্ষার্থী সফলভাবে পাস করেছে। এই সংখ্যাটি আগের বছরের পাসের হার ৮০.৩৯ শতাংশ থেকে ২.৬৫ শতাংশ পয়েন্টের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির প্রতিনিধিত্ব করে। উপরন্তু, চলমান বৈশ্বিক মহামারী দ্বারা সৃষ্ট চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি বিবেচনা করে এটি একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। 

শিক্ষার্থীদের নিষ্ঠা ও অধ্যবসায়ের প্রতীক পরীক্ষার ফলাফল সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকাশ করেন। ভার্চুয়াল প্রযুক্তি ব্যবহার করে, তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তার সরকারী বাসভবন গণভবনে আয়োজিত একটি ইভেন্টের সময় একটি বোতাম টিপে মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সম্মিলিত পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। এই বিস্তৃত প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত অর্জনই তুলে ধরে না, শিক্ষা খাতের সামষ্টিক অগ্রগতিও তুলে ধরে।

বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার বিশ্লেষণ করলে দেশের শিক্ষাগত দৃশ্যপট আরও স্পষ্ট হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, ঢাকা ও বরিশাল বোর্ডে প্রশংসনীয় পাসের হার যথাক্রমে ৮৯.৩২ শতাংশ এবং ৮৯.১৩ শতাংশ, যা এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের শক্তিশালী পারফরম্যান্সকে প্রতিফলিত করে। ইতিমধ্যে, সিলেট এবং দিনাজপুরের মতো বোর্ডগুলি সামান্য কম পাসের হার প্রদর্শন করেছে, যা এই এলাকায় লক্ষ্যযুক্ত শিক্ষাগত হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে।

বিভিন্ন বোর্ডে পাসের হারের বিস্তারিত বিবরণ নিম্নরূপ

  1. ঢাকা: ৮৯.৩২% 
  2. বরিশাল: ৮৯.১৩%
  3. চট্টগ্রাম: ৮২.৮০% 
  4. কুমিল্লা: ৭৯.২৩% 
  5. দিনাজপুর: ৭৮.৪% 
  6. যশোর: ৯২.৩২% 
  7. রাজশাহী: ৮৯.২৫%
  8. সিলেট: ৭৩.৩৫% 
  9. ময়মনসিংহ: ৮৪.৯৭%
  10. কারিগরি শিক্ষা বোর্ড: ৮১.৩৮%
  11. মাদ্রাসা বোর্ড: ৭৯.৬৬%

উন্মোচিত ফলাফল শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের একাডেমিক অর্জনকেই আন্ডারস্কোর করে না বরং সারা দেশে শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে সরকারের প্রতিশ্রুতিও নিশ্চিত করে। যেহেতু দেশটি এই অসাধারণ কৃতিত্ব উদযাপন করছে, তাই সকলের জন্য মানসম্মত শিক্ষায় ন্যায়সঙ্গত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ে তুলতে হবে।

   


পাঠকের মন্তব্য