বেরোবিতে কুড়িগ্রাম সমিতির পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান 

কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি

কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির উদ্যোগে পুনর্মিলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার (৩১ মে ২০২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্ত্বর প্রাঙ্গণে বিকেল ৪ টা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত এ অনুষ্ঠান চলে।  বেরোবিতে পড়ুয়া কুড়িগ্রামের শিক্ষার্থী, শিক্ষক কুড়িগ্রামের বিভিন্ন গুণীজন ও সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. হামিদুল হক খন্দকার; প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তুহিন ওয়াদুদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রীম কোর্টের সাবেক বিচারক আজিজুর রহমান দুলু, মেট্রো পাবলিকেশন্স এর পরিচালক আবুল বাশার, রংপুর রয়্যালিটি মেগা মলের ব্যবস্থাপক তানবীর হোসেন আশরফী, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. এমদাদুল হক, বাংলা বিভাগের প্রভাষক সিরাজুম মুনীরা, ছাত্রলীগ বেরোবি শাখা সভাপতি পোমেল বড়ুয়াসহ প্রমুখ।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ হামিদুল হক খন্দকার বলেন, কুড়িগ্রামের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন আয়োজন সত্যিই মুগ্ধতা ছড়ায়। দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কুড়িগ্রামের শিক্ষার্থীদের পদচারণাই বলে দেয় আগামীর কুড়িগ্রাম কতটা উন্নত হবে। এসময় তিনি কুড়িগ্রামের শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যায় তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ও দেন।

আলোচনাসভা শেষ হলে সন্ধার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া কুড়িগ্রামের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যান্ড টঙের গান, ভবতরী, প্রতিসাম্য এবং অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠান ও কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি সম্পর্কে সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই সমিতি আমাদের শিক্ষার্থীদের পাশে থেকেছে, শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যায় সংশ্লিষ্টরা সাহায্য করেছেন। আগামীতেও এধারা অব্যাহত থাকবে। কুড়িগ্রামের এই সমিতি শিক্ষার্থীদের কতটা আপন তা আবারও আজ প্রমাণিত হলো। 

এর আগে শিক্ষার্থীদের মাঝে টিশার্ট, খাবার ও লটারির টিকিট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কুড়িগ্রামের শিক্ষার্থী রিপন আহমেদ ও সুমাইয়া তাবাসসুম টুসু। 

   


পাঠকের মন্তব্য