ঈদসহ গ্রীষ্মকালীন ১৭ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

গ্রীষ্মকালীন ছুটি এবং ঈদুল আজহার ছুটি

গ্রীষ্মকালীন ছুটি এবং ঈদুল আজহার ছুটি

গ্রীষ্মকালীন ছুটি এবং ঈদুল আজহার ছুটি মিলিয়ে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ১৭ দিনের ছুটি পালন করবে। এই বিরতি ১৩ জুন বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে এবং ২৯ জুন শেষ হবে। এই ছুটির বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। 

১৩ জুন থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত নির্ধারিত ১৭ দিনের ছুটি ঈদ-উল-আজহা উৎসবের সাথে ঐতিহ্যগত গ্রীষ্মকালীন ছুটিকে একীভূত করে। ৩০ জুন অর্ধ-দিনের সময়সূচীতে ক্লাস পুনরায় শুরু হবে, ১ জুলাই থেকে পুরো দিনের ক্লাস পুনরায় শুরু হবে। এই বর্ধিত বিরতিটি ঈদ-উল-আজহা এবং বার্ষিক গ্রীষ্মকালীন ছুটির ওভারল্যাপিং সময়কে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষাগত ক্যালেন্ডারের সাথে সারিবদ্ধ করে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উল্লেখ করেছেন যে গ্রীষ্মকালীন ছুটি সাধারণত জুন মাসে বরাদ্দ করা হয়। এই বছর, গ্রীষ্মের ছুটির সাথে ঈদুল আজহার সঙ্গতি দেওয়ায়, সময়সূচী প্রবাহিত করতে দুটি ছুটি একত্রিত করা হয়েছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বেছে নিলে ঈদের ছুটিকে গ্রীষ্মকালীন ছুটি থেকে আলাদা করার নমনীয়তা বজায় রাখে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, গ্রীষ্মকালীন ছুটি নিয়ে আমাদের ভিন্ন ধারণা রয়েছে। তবে যেহেতু আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ঈদের ছুটি শুরু হবে, তাই যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে গ্রীষ্মকালীন ছুটি দিতে পারে। গ্রীষ্মকালীন ছুটির বিষয়ে যে কোনো পরিবর্তন পরবর্তীতে জানানো হবে।"

ঈদ-উল-আযহার ছুটির সাথে গ্রীষ্মের ছুটির সমন্বয় করার সিদ্ধান্তটি একাডেমিক ক্যালেন্ডার পরিচালনার জন্য একটি ব্যবহারিক পদ্ধতির প্রতিফলন ঘটায়, যাতে শিক্ষার্থী এবং কর্মীরা ধর্মীয় উৎসব এবং মৌসুমী বিরতি উভয়ই পুরোপুরি উপভোগ করতে পারে তা নিশ্চিত করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে তাদের স্বতন্ত্র প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য নমনীয়তা প্রদান করে প্রয়োজন অনুসারে তাদের সময়সূচী সামঞ্জস্য করার স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছে। এই সমন্বিত ছুটির সময়টি শিক্ষার্থীদের এবং শিক্ষাবিদদের জন্য একটি উপযুক্ত বিরতি প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে, শিক্ষা এবং সুস্থতার জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতির প্রচার করবে।

   


পাঠকের মন্তব্য